ফুটবল ড্রামায় পরিপূর্ণ রাত: মুসিয়ালার ইনজুরি, লাল কার্ড আর বীরত্বের গল্প

 



ফুটবলের অবিশ্বাস্য এক রাত!

পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদ নিজেদের ম্যাচে জিতে সেমিফাইনালে উঠে গেছে। স্কোরলাইন দেখে মনে হবে এ যেন নিয়মমাফিক জয়। কিন্তু আজ যা ঘটেছে, তা ফুটবলবিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে।


একদিকে জামাল মুসিয়ালার ইনজুরিতে সবাই শঙ্কিত, অন্যদিকে দুই ম্যাচেই ফলাফল অনেকটা নির্ধারিত হয়ে যাওয়ার পরেও অতিরিক্ত সময়ের উত্তেজনা ছিল চোখে পড়ার মতো। পিএসজির দুই ও রিয়ালের এক লাল কার্ড নিঃসন্দেহে এই দুই হেভিওয়েটের সেমিফাইনাল যাত্রায় প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে।


কার্ড কাহিনি পরে আসছে, আগে দেখে নিই দুই ম্যাচের উল্লেখযোগ্য মুহূর্তগুলো।

ম্যানুয়েল নয়্যার "সুইপার কিপার" হতে গিয়ে একাধিকবার হাস্যকর ভুল করেছেন। কিন্তু আবার এক পর্যায়ে অসাধারণ এক সেভ দিয়ে পুরোনো নয়্যারকেও মনে করিয়ে দেন। বারকোলার শটটা আগেভাগেই বুঝে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন দুর্দান্ত এক রিফ্লেক্সে। কিন্তু দুয়ের শট ঠেকানো নয়্যারের পক্ষেও সম্ভব হয়নি। ভালো এক কাট-ইনে দুয়ে এমনভাবে শরীর ঘুরিয়ে বলটি পোস্টে গড়িয়েছেন, যাতে নয়্যার তাল মেলাতে পারেননি।

রিয়ালের পক্ষে গোল করে জয় নিশ্চিত করেছিলেন এমবাপ্পে, দারুণ এক সিজর কিকে। কিন্তু পরে হুইসেনের লাল কার্ডের উপহারে এরপর ডর্টমুন্ড যখন এক গোল শোধ করে চাপে ফেলেছিল, ঠিক তখনই থিবো কোর্তোয়া তার ওয়ার্ল্ড ক্লাস সেভ দিয়ে রিয়ালের জয় নিশ্চিত করেন চুড়ান্তভাবে।


দুই ‘গার্সিয়া’ আজ ছিলেন ম্যাচের নায়ক।

ফ্রান গার্সিয়া ডর্টমুন্ডের রক্ষণভাগকে ভোগাতে থাকেন একের পর এক ওভারল্যাপে। রেয়ারসনকে একাধিকবার পরাস্ত করে এমন চাপ সৃষ্টি করেন যে, কোচ নিকো কোভাচ ডিফেন্সলাইনে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হন।

গঞ্জালো গার্সিয়া তার মুভমেন্টে বোঝালেন কতটা বুদ্ধিমান তিনি। এক ফরোয়ার্ড রান দিয়ে দুই সেন্টারব্যাককে বিভ্রান্ত করেন। তারা ভাবছিলেন অফসাইড, অথচ গার্সিয়া ছিলেন অনসাইড। ফলাফল: দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে সহজ এক হেডে গোল।


এবার আসি লাল কার্ড প্রসঙ্গে। তিনটি লাল কার্ডই এড়ানো যেত।

পিএসজির পাচো, দল এগিয়ে থাকা অবস্থায়ও প্রতিপক্ষের পায়ে অপ্রয়োজনীয় ট্যাকল করেন।

লুকাস হারনান্দেজ তো যেন ইচ্ছেকৃতভাবেই কনুই দিয়ে আঘাত করে আর লাথি মেরে ইনজুরি করাতে চেয়েছেন।

রিয়ালের হুইসেন দাবি করতে পারেন, তিনি ফাউলটা না করলে গোল হয়ে যেত। কিন্তু তখন তারা ছিল দুই গোলে এগিয়ে, সময়ও ছিল কম। ফলে ওই ফাউল কতটা যৌক্তিক, সেটা বিতর্কের বিষয়।


সব ছাপিয়ে, সবার দৃষ্টি এখন জামাল মুসিয়ালার ইনজুরির দিকেই।

শেষ খবর অনুযায়ী, তিনি অন্তত ৫-৬ মাস মাঠের বাইরে থাকবেন। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এটাই এখন ফুটবলবিশ্বের একটাই প্রার্থনা।


#fifaclubworldcup2025 

#realVsdortmund 

#PSGVsBayern

Comments

Popular posts from this blog

দাগীঃ ডিটেইলিংয়ে অনন্য এক সিনেমা

তুফানি ওয়ান টেক শটের ব্যবচ্ছেদ

বাংলাদেশ দলে কোন পজিশনে ভালো খেলবেন হামজা চৌধুরী?