ফাহমিদুল ইসলামঃ বাংলাদেশের নেক্সট স্টার?

 


কেমন খেললেন ফাহমিদুল ইসলাম? কেউ বলবেন খুব ভালো। কেউ বলবেন আরেকটু ভালো খেলতে পারতেন। তবে সরাসরি ইতি না টেনে চলুন দেখা যাক একটু বিশ্লেষণী চোখে। 

ফাহমিদুল মাঠে ছিলেন ৬০ মিনিট। অন্তত একদম নিষ্প্রভ যে ছিলেন না তা বোঝা যায় অ্যাাটাক আর ডিফেন্স দুই জায়গাতেই উপস্থিতি দেখে। দু একবার ব্যাকহিল আর পাস দিতে ঠিকঠাক না হলেও তাঁর ক্যালিবার বোঝা গিয়েছে বাম পায়ের ওই শটটায়। রাকিব হোসেন বল নিয়ে তুলেছিলেন গতির ঝড়। তাতে তাল মিলিয়ে করা বুলেট শট স্পষ্টতই লোকাল উইংগারদের বিপরীত। পরে ফাহিম বল মহাকাশে পাঠিয়ে তাই প্রমাণ করে দিলেন! 

জোরালো শটের পাশাপাশি নজর কেড়েছে ভালো ক্রসিংও। ট্র্যাডিশনাল উইংগারদের মতো উইং ধরে রান নিয়ে ক্রস করছিলেন তিনি ডি বক্সে। এইভাবেই করা অন্তত দুটো ক্রস ছিল একদম পিনপয়েন্ট। বিশেষত দ্বিতীয়টায় বল পেতে এক সেকেন্ড দেরিতে দৌড় শুরু করেও বলের দখল নিতে পারাটা স্পিড আর ফিজিকাল অ্যাবিলিটির জানান দিয়ে যায়। ফিজিকালিটির কথা আসলে দুটো স্লাইড ট্যাকলের কথাও আসবে। পারফেক্ট স্লাইডে বুঝিয়েছেন ডিফেন্ডিং সামর্থ্য। বয়স ১৮ হলেও একটা বড় প্লাস পয়েন্ট অবশ্যই এটা। মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতার কথাও বলতেই হবে। ইতালির ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে বাংলাদেশের আদ্র গরম আবহাওয়ায় সুইচ করে এই পারফরম্যান্স- প্রথম ম্যাচ হিসেবে বেশ ভালো।

একটু নড়বড়ে লাগলেও খেলেছেন ভালো, কোচ হ্যাবিয়ের কাবরেরার মূল্যায়ন এমন। “আমার মনে হয়েছে সে একটু নার্ভাস ছিল, তারপরেও ভালো খেলেছে।”

ফাহামিদুল বড় দলগুলোকে চমকে দিতেই পারেন এই খেলা দিয়ে। হ্যাঁ পাসিংয়ে আরেকটু উন্নতি করতে হবে, তবে প্রথম ম্যাচে সমর্থকদের এতো প্রত্যাশা মাথায় নিয়ে এতো কম বয়সে এতটুকুই অনেক। ম্যাচের আগে হেডফোন কানে চিল মুডে থাকার মতো ম্যাচেও চিল মুডে থেকে প্রমাণ দিয়ে গেলেন তাঁকে নিয়ে সমর্থকদের আবেগ অহেতুক না। 




Comments

Popular posts from this blog

দাগীঃ ডিটেইলিংয়ে অনন্য এক সিনেমা

তুফানি ওয়ান টেক শটের ব্যবচ্ছেদ

বাংলাদেশ দলে কোন পজিশনে ভালো খেলবেন হামজা চৌধুরী?